০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

তারেক রহমান গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র….. প্রকৌশলী এস এ এম আবু হানিফ

প্রকৌশলী এস এ এম আবু হানিফ
  • Update Time : ১১:০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৪৪ Time View

তারেক রহমান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, মাটি, মানুষ ও গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ যেন আরেক জিয়া। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দর্শনের এক মহানায়ক। তাঁর নির্বাসিত ১৭টি বছর ধরে দলকে যেমন আগলে রেখেছেন সন্তানের মত করে, ঠিক তেমনি গণতন্ত্রের নির্ঘুম অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে দীর্ঘদিন আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। যারই ফলশ্রুতিতে আজকে বাংলাদেশের মানুষ আশার এক নতুন আলো দেখতে পেয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশে একটি নতুন বৈপ্লবিক, গণতান্ত্রিক, জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র অতীতেও ছিল, এখনও রয়েছে, আবার ভবিষ্যতেও ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে রুদ্ধ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মাটির মানুষ ও রাজনীতির নিবেদিত প্রাণ হিসেবে তারুণ্যের নায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল- একটি নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য ২০০৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের আকাশে নেমে এসেছিল এক কালো মেঘ। শুরু হয়েছিল ষড়যন্ত্র, শুরু হয়েছিল ক্ষমতা গ্রহণের আধিপত্য। আর সেখানেই নীল নকশার বীজের পরিপক্কতা তৈরি করে- অর্থাৎ জিয়া পরিবার, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নিস্তব্ধ করার এক অদৃশ্য শক্তি। এ যেন স্বয়ং দানবরূপে বাংলাদেশের মানুষের উপরে চেপে বসা অদৃশ্য শক্তি। এই ষড়যন্ত্রের ফসল হিসেবে সৃষ্টি হয়েছিল “মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন” এর মত এক অভিশপ্ত কালো অধ্যায়। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রচিত হয় এক বীভৎস নাটকীয় ও ষড়যন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ। যেটাকে আমরা ১/১১ বলে জানি। আমরা এই ওয়ান ইলেভেনের জন্য দায়ী ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনকে চিনি জানি। সুবিধাভোগী চাটুকাররা হি হি হা হা করে নয় মাস খুব মজা নিয়েছিল, দশ মাস পর থেকে তারা আর সেই অভিশাপ বহন করতে পারেনি। আমরা সেটা ভুলে যাইনি।
বর্তমানে দেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ও মব জাষ্টিজ এবং বৈদেশিক ষড়যন্ত্র এগুলো সবসময়ই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশিরভাগই রাজনৈতিকদেরকেই বুঝতে হয়। অধিকাংশ লড়াই সংগ্রামে জেলবন্দী ও হত্যার শিকার রাজনৈতিক নেতারাই হয়।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল লড়াই সংগ্রামে আমজনতাকে সাথে করে রাজনৈতিক স্ট্রেকহোল্ডারায় সম্মুখ সারীর ভূমিকা নিয়েছে এবং আগামী দিনেও প্রেমের লড়াইয়ে জীবন বাজি ভূমিকা নেওয়ার জন্য তাদের শপথ রয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে যে সমস্ত দালালগুলো ডিক্টেটর বানিয়েছিল, সেই সমস্ত দালালগুলোই আবার হাসিনার আঁচলের ছত্রছায়ার সুশীতল বাগান থেকে বের হয়ে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপদ ডেরায় আশ্রয় করে নিয়েছে। এটা একটা রাষ্ট্রের জন্য বড়ই ক্ষতিকর, বড়ই ভয়ঙ্কর এবং জাতির জন্য ঘৃন্য ও লজ্জাকর।

আজ স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, ফ্যাসিস্টের মাথা গেছে কিন্তু তার দেহ এ দেশে রয়ে গেছে, তাই স্বৈরাচারের দোসরা মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে।

বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রতীয়মান হয়েছে যে, জিয়া পরিবারকে ধ্বংস এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের পালাতক যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম হানিফের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে তারেক রহমানকে হত্যার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে কুষ্টিয়ায় অবস্থান করানো হয়েছিল। আর ৫ই আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে মাহবুবুল আলম হানিফ বিশেষ এক রাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এতে করে প্রমাণিত হয় যে, মামা-ভাগ্নের রাজনীতি জিয়া পরিবারের ধ্বংসের জন্য এক ভয়ঙ্কর নীল নকশার কারিগর। অযোগ্য নেতৃত্ব, পেশিশক্তি প্রদর্শনের রাজনীতি, সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতা, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ভিন্ন দলের লোকদেরকে সুবিধার বিনিময়ে দলের মধ্যে অবস্থান তৈরি করে দেওয়ার চর্চা, জিয়া পরিবারের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা, ১/১১ তে কিংস পার্টি গঠন করা, দেশপ্রেমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, নিজের পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও বলয়ভিত্তিক স্বার্থে লিপ্ত থাকা এবং মামা-ভাগ্নে লিয়াজোকারী নেতৃবৃন্দের কারণে আজকে দল চরম ক্রান্তিলগ্নে পতিত হতে যাচ্ছে।

আমরা জাতীয়তাবাদের শক্তিতে বিশ্বাসী, শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী, খালেদা জিয়ার আপোষহীন চেতনায় বিশ্বাসী এবং তারেক রহমানের অবিচল নেতৃত্বে বিশ্বাসী। আমরা কোন ব্যক্তির অটোক্রাসি(autocracy) পলিসিতে বিশ্বাসী নয়। হয় জিতবো, নয়তো শিখবো কিন্তু সুবিধাবাদীদের ঘুম হারাম করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।

গণমানুষের অধিকার রক্ষার একমাত্র পথ হল অবাধ ও ভয়মুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন।
গণতন্ত্রকামী মানুষ চায় সুশাসন এবং জবাবদিহিমূলক একটি সরকার গঠন। একটি দেশের সব মানুষ কখনোই দল বা রাজনীতি করে না। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষই দেশের ক্রান্তিকালে রাষ্ট্রের বিপক্ষের যে কোন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাছাড়া জনগণ তার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য রাজনীতি বা দল না করলেও দেশ এবং দেশপ্রেমের জন্য যেকোনো সময় তাদের আত্মত্যাগ অব্যাহত রাখে। যেহেতু একটি ভূখণ্ড এবং রাষ্ট্রের মালিক বা মূল উপাদান হলো জনগণ আর রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডার গুলো জনগণের কাছে দ্বারস্থ হয়। আর এজন্যই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই এই জনগণের উপর ভরসা করে জনগণের উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন অর্থাৎ জনগণই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা চাই আমাদের দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হোক, মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করার অধিকার ও স্বাধীনতা ফিরে পাক, জনগণ তাদের নিজস্ব ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দমত একটি সরকার গঠন করুক। জনগণ কোন দলকে বা কাকে কতটুকু পছন্দ করে সেটা জরিপ করার মত বাংলাদেশে ভিন্ন কোন পদ্ধতি নেই, যে পদ্ধতিটা আছে সেটা হলো একমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমাদের মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, এই জাহানের মালিক মহান আল্লাহতালা আর রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাই জনগণের কাছে বারবার দ্বারস্থ হতে হবে এই রাজনৈতিক দলগুলোকে। তাই একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের অভিপ্রায়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকে অত্যন্ত সুদৃষ্টি বা সম্মানের সাথে এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েই আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো যেন প্রস্তুত থাকে সেটাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে সুশাসন এবং জবাবদিহিমূলক একটি সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে ৩১ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর এবং জনগণের স্বপ্নের রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

লেখক: কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা ও মিরপুর) এ বিএনপি থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী।
প্রকৌশলী, রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ডেমোগ্রাফার।
তারিখ: ০৫/০৯/২৫ খ্রি.

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

তারেক রহমান গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র….. প্রকৌশলী এস এ এম আবু হানিফ

Update Time : ১১:০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তারেক রহমান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, মাটি, মানুষ ও গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এ যেন আরেক জিয়া। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দর্শনের এক মহানায়ক। তাঁর নির্বাসিত ১৭টি বছর ধরে দলকে যেমন আগলে রেখেছেন সন্তানের মত করে, ঠিক তেমনি গণতন্ত্রের নির্ঘুম অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে দীর্ঘদিন আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। যারই ফলশ্রুতিতে আজকে বাংলাদেশের মানুষ আশার এক নতুন আলো দেখতে পেয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশে একটি নতুন বৈপ্লবিক, গণতান্ত্রিক, জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র অতীতেও ছিল, এখনও রয়েছে, আবার ভবিষ্যতেও ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে রুদ্ধ করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মাটির মানুষ ও রাজনীতির নিবেদিত প্রাণ হিসেবে তারুণ্যের নায়ক তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল- একটি নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্য ২০০৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের আকাশে নেমে এসেছিল এক কালো মেঘ। শুরু হয়েছিল ষড়যন্ত্র, শুরু হয়েছিল ক্ষমতা গ্রহণের আধিপত্য। আর সেখানেই নীল নকশার বীজের পরিপক্কতা তৈরি করে- অর্থাৎ জিয়া পরিবার, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে নিস্তব্ধ করার এক অদৃশ্য শক্তি। এ যেন স্বয়ং দানবরূপে বাংলাদেশের মানুষের উপরে চেপে বসা অদৃশ্য শক্তি। এই ষড়যন্ত্রের ফসল হিসেবে সৃষ্টি হয়েছিল “মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন” এর মত এক অভিশপ্ত কালো অধ্যায়। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রচিত হয় এক বীভৎস নাটকীয় ও ষড়যন্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ। যেটাকে আমরা ১/১১ বলে জানি। আমরা এই ওয়ান ইলেভেনের জন্য দায়ী ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনকে চিনি জানি। সুবিধাভোগী চাটুকাররা হি হি হা হা করে নয় মাস খুব মজা নিয়েছিল, দশ মাস পর থেকে তারা আর সেই অভিশাপ বহন করতে পারেনি। আমরা সেটা ভুলে যাইনি।
বর্তমানে দেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ও মব জাষ্টিজ এবং বৈদেশিক ষড়যন্ত্র এগুলো সবসময়ই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেশিরভাগই রাজনৈতিকদেরকেই বুঝতে হয়। অধিকাংশ লড়াই সংগ্রামে জেলবন্দী ও হত্যার শিকার রাজনৈতিক নেতারাই হয়।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল লড়াই সংগ্রামে আমজনতাকে সাথে করে রাজনৈতিক স্ট্রেকহোল্ডারায় সম্মুখ সারীর ভূমিকা নিয়েছে এবং আগামী দিনেও প্রেমের লড়াইয়ে জীবন বাজি ভূমিকা নেওয়ার জন্য তাদের শপথ রয়েছে।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে যে সমস্ত দালালগুলো ডিক্টেটর বানিয়েছিল, সেই সমস্ত দালালগুলোই আবার হাসিনার আঁচলের ছত্রছায়ার সুশীতল বাগান থেকে বের হয়ে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নিরাপদ ডেরায় আশ্রয় করে নিয়েছে। এটা একটা রাষ্ট্রের জন্য বড়ই ক্ষতিকর, বড়ই ভয়ঙ্কর এবং জাতির জন্য ঘৃন্য ও লজ্জাকর।

আজ স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, ফ্যাসিস্টের মাথা গেছে কিন্তু তার দেহ এ দেশে রয়ে গেছে, তাই স্বৈরাচারের দোসরা মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে।

বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রতীয়মান হয়েছে যে, জিয়া পরিবারকে ধ্বংস এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হত্যার পরিকল্পনার সাথে জড়িত বিশেষ ব্যক্তি হিসেবে আওয়ামী লীগের পালাতক যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম হানিফের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে তারেক রহমানকে হত্যার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনকে কুষ্টিয়ায় অবস্থান করানো হয়েছিল। আর ৫ই আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে মাহবুবুল আলম হানিফ বিশেষ এক রাজনৈতিক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এতে করে প্রমাণিত হয় যে, মামা-ভাগ্নের রাজনীতি জিয়া পরিবারের ধ্বংসের জন্য এক ভয়ঙ্কর নীল নকশার কারিগর। অযোগ্য নেতৃত্ব, পেশিশক্তি প্রদর্শনের রাজনীতি, সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়দাতা, দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ভিন্ন দলের লোকদেরকে সুবিধার বিনিময়ে দলের মধ্যে অবস্থান তৈরি করে দেওয়ার চর্চা, জিয়া পরিবারের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা, ১/১১ তে কিংস পার্টি গঠন করা, দেশপ্রেমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, নিজের পারিবারিক, ব্যক্তিগত ও বলয়ভিত্তিক স্বার্থে লিপ্ত থাকা এবং মামা-ভাগ্নে লিয়াজোকারী নেতৃবৃন্দের কারণে আজকে দল চরম ক্রান্তিলগ্নে পতিত হতে যাচ্ছে।

আমরা জাতীয়তাবাদের শক্তিতে বিশ্বাসী, শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাসী, খালেদা জিয়ার আপোষহীন চেতনায় বিশ্বাসী এবং তারেক রহমানের অবিচল নেতৃত্বে বিশ্বাসী। আমরা কোন ব্যক্তির অটোক্রাসি(autocracy) পলিসিতে বিশ্বাসী নয়। হয় জিতবো, নয়তো শিখবো কিন্তু সুবিধাবাদীদের ঘুম হারাম করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।

গণমানুষের অধিকার রক্ষার একমাত্র পথ হল অবাধ ও ভয়মুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন।
গণতন্ত্রকামী মানুষ চায় সুশাসন এবং জবাবদিহিমূলক একটি সরকার গঠন। একটি দেশের সব মানুষ কখনোই দল বা রাজনীতি করে না। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষই দেশের ক্রান্তিকালে রাষ্ট্রের বিপক্ষের যে কোন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাছাড়া জনগণ তার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য রাজনীতি বা দল না করলেও দেশ এবং দেশপ্রেমের জন্য যেকোনো সময় তাদের আত্মত্যাগ অব্যাহত রাখে। যেহেতু একটি ভূখণ্ড এবং রাষ্ট্রের মালিক বা মূল উপাদান হলো জনগণ আর রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডার গুলো জনগণের কাছে দ্বারস্থ হয়। আর এজন্যই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই এই জনগণের উপর ভরসা করে জনগণের উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন অর্থাৎ জনগণই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা চাই আমাদের দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হোক, মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করার অধিকার ও স্বাধীনতা ফিরে পাক, জনগণ তাদের নিজস্ব ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দমত একটি সরকার গঠন করুক। জনগণ কোন দলকে বা কাকে কতটুকু পছন্দ করে সেটা জরিপ করার মত বাংলাদেশে ভিন্ন কোন পদ্ধতি নেই, যে পদ্ধতিটা আছে সেটা হলো একমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমাদের মনে রাখতে হবে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, এই জাহানের মালিক মহান আল্লাহতালা আর রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাই জনগণের কাছে বারবার দ্বারস্থ হতে হবে এই রাজনৈতিক দলগুলোকে। তাই একটি স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের অভিপ্রায়ে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার দিকে অত্যন্ত সুদৃষ্টি বা সম্মানের সাথে এবং জবাবদিহিতার সঙ্গে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েই আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো যেন প্রস্তুত থাকে সেটাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিত।
বাংলাদেশে সুশাসন এবং জবাবদিহিমূলক একটি সরকার গঠন করে রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে ৩১ দফার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর এবং জনগণের স্বপ্নের রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

লেখক: কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা ও মিরপুর) এ বিএনপি থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী।
প্রকৌশলী, রাজনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ডেমোগ্রাফার।
তারিখ: ০৫/০৯/২৫ খ্রি.