০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

মাদক নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের কঠোর ভূমিকা দাবি বক্তাদের

শাহারুল ইসলাম রকি
  • Update Time : ১১:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪৯ Time View

আজ রাজধানীর মালিবাগে এস আই টিভির স্টুডিওতে “মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা অনুরাগী রোটারিয়ান ইমরান হোসেন চৌধুরী ইমুর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক শাহারুল ইসলাম রকির উপস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে মাদক আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবার কোনো না কোনোভাবে মাদকের ভয়াবহতা অনুভব করছে। অভিভাবকরা আজ গভীর উদ্বেগ ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন, কারণ তাদের সন্তানরা মাদকের অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে রাষ্ট্রকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

রোটারিয়ান ইমরান হোসেন চৌধুরী ইমু বলেন, “মাদক একটি নীরব ঘাতক। এটি শুধু তরুণ সমাজকেই ধ্বংস করছে না, গোটা জাতির ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করছে।” তিনি সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

উপস্থাপক শাহারুল ইসলাম রকি বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযান কেবল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নয়; প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।”

বক্তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্র যেন আরও কার্যকর ও কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় সংগঠন ও গণমাধ্যমকে মাদকবিরোধী প্রচারণায় সক্রিয় হওয়ারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা মত দেন—যুব সমাজকে খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা গেলে মাদকের প্রভাব অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

মাদক নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রের কঠোর ভূমিকা দাবি বক্তাদের

Update Time : ১১:৫১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

আজ রাজধানীর মালিবাগে এস আই টিভির স্টুডিওতে “মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা অনুরাগী রোটারিয়ান ইমরান হোসেন চৌধুরী ইমুর সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক শাহারুল ইসলাম রকির উপস্থাপনায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে মাদক আমাদের সমাজের সবচেয়ে বড় অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবার কোনো না কোনোভাবে মাদকের ভয়াবহতা অনুভব করছে। অভিভাবকরা আজ গভীর উদ্বেগ ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন, কারণ তাদের সন্তানরা মাদকের অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে রাষ্ট্রকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

রোটারিয়ান ইমরান হোসেন চৌধুরী ইমু বলেন, “মাদক একটি নীরব ঘাতক। এটি শুধু তরুণ সমাজকেই ধ্বংস করছে না, গোটা জাতির ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করছে।” তিনি সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

উপস্থাপক শাহারুল ইসলাম রকি বলেন, “মাদকবিরোধী অভিযান কেবল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব নয়; প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।”

বক্তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আহ্বান জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্র যেন আরও কার্যকর ও কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় সংগঠন ও গণমাধ্যমকে মাদকবিরোধী প্রচারণায় সক্রিয় হওয়ারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা মত দেন—যুব সমাজকে খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা গেলে মাদকের প্রভাব অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।