০৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপন করতে হবে: আবুল কাসেম চৌধুরী

আক্তারুজ্জামান
  • Update Time : ০৪:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৫১ Time View

এম এ জি ওসমানী’র ১০৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ) আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিআরজেএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশির দশকের ছাত্রনেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এর সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরী।

” মুক্তিযুদ্ধে এম এ জি ওসমানীর অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব ডা. সৈয়দ উমর খৈয়াম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক এড. আবেদ রাজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সহকারি মহাসচিব ও আমার দেশ এর চীফ রিপোর্টার বাছির জামাল, বাংলাদেশ হাওর উন্নয়ন ঐক্য পরিষদ এর আহবায়ক এডভোকেট মোঃ ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম পল্টন থানার আমীর শাহীন আহমেদ খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ প্রতিদিন এর এডিশনাল নিউজ এডিটর মোঃ মোদাব্বের হোসেন, সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি-সিবিসাস এর সভাপতি আবুল কালাম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক নেতা প্রিন্স বি এ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মোকাম্মল হোসেন চৌধুরী মেনন, শাহরুল ইসলাম রকি,মোঃবেলাল আহম্মেদ প্রমুখ।বক্তারা বলেন অস্হায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমান,মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম,এ,জি,ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করে বিকৃত ইতিহাস প্রত্যাহার করে সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে উপস্হাপন করে ভোটাররা ভোটের অধিকার থেকে বন্চিত হওয়ার আশংকা বন্ধ হবে। তারা বলেন দিল্লী যাদের দুষমন মনে করে তারাই প্রকৃত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।আজকের দিনের অঙ্গিকার হোক ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতিয় ঐক্যে অটুট রেখে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করা তাহলেই সর্বাধিনায়কের প্রতিশ্রদ্ধা জানানো হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জীবনী স্কুল-কলেজের পুস্তকে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন আশির দশকের ছাত্রনেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরী।

তিনি বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী যখন আত্মসমর্পণ করে, সেই অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর না থাকাটা এখনও প্রশ্ন হয়ে আছে অনেকের মনে।

১৯৭১ সালের সেই দিনটিতে ইন্ডিয়ার দাবী অনুযায়ী যৌথ সামরিক কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী।

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) যে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লাল-সবুজ পতাকার বিজয় সূচিত হয়েছিল, সেখানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান এ কে খন্দকার।

ওই অনুষ্ঠানে ওসামানীর না থাকাটা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে এখনও। ওই ঘটনা ধরে ওসমানীকে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়াসও দেখা যায় অহরহ। অথচ সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও ওসমানী আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদেও আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। মন্ত্রীও হয়েছিলেন স্বাধীনতার পরবর্তি সরকারে। বাকশাল গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেও ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক ঐক্য জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন অস্হায়ী প্রেসিডেন্ট স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতিপক্ষ হয়ে গনতন্ত্রিক যাত্রা অব্যাহত রাখতে।

ওসমানীর যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে শ
সমরনায়কদের সঙ্গে তার মতবিরোধ থাকলেও নীতিকে কঠোর ও প্রবল আত্ম মর্যাদাবোধ তাকে বৈশিষ্ট্যে স্বতস্ত্র করে তোলে বলে সমালোচকরাও স্বীকার করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জন্মবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ভাবে উদযাপন করতে হবে: আবুল কাসেম চৌধুরী

Update Time : ০৪:৩৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এম এ জি ওসমানী’র ১০৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ) আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিআরজেএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশির দশকের ছাত্রনেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ এর সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরী।

” মুক্তিযুদ্ধে এম এ জি ওসমানীর অবদান” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব ডা. সৈয়দ উমর খৈয়াম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক এড. আবেদ রাজা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সহকারি মহাসচিব ও আমার দেশ এর চীফ রিপোর্টার বাছির জামাল, বাংলাদেশ হাওর উন্নয়ন ঐক্য পরিষদ এর আহবায়ক এডভোকেট মোঃ ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ জামাতে ইসলাম পল্টন থানার আমীর শাহীন আহমেদ খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে’র সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ প্রতিদিন এর এডিশনাল নিউজ এডিটর মোঃ মোদাব্বের হোসেন, সিলেট বিভাগ সাংবাদিক সমিতি-সিবিসাস এর সভাপতি আবুল কালাম, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক নেতা প্রিন্স বি এ চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক জামাল উদ্দিন আহমেদ, মোকাম্মল হোসেন চৌধুরী মেনন, শাহরুল ইসলাম রকি,মোঃবেলাল আহম্মেদ প্রমুখ।বক্তারা বলেন অস্হায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমান,মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম,এ,জি,ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয় ভাবে পালন করে বিকৃত ইতিহাস প্রত্যাহার করে সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে উপস্হাপন করে ভোটাররা ভোটের অধিকার থেকে বন্চিত হওয়ার আশংকা বন্ধ হবে। তারা বলেন দিল্লী যাদের দুষমন মনে করে তারাই প্রকৃত স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।আজকের দিনের অঙ্গিকার হোক ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতিয় ঐক্যে অটুট রেখে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করা তাহলেই সর্বাধিনায়কের প্রতিশ্রদ্ধা জানানো হবে।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীর জীবনী স্কুল-কলেজের পুস্তকে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন আশির দশকের ছাত্রনেতা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম চৌধুরী।

তিনি বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী যখন আত্মসমর্পণ করে, সেই অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর না থাকাটা এখনও প্রশ্ন হয়ে আছে অনেকের মনে।

১৯৭১ সালের সেই দিনটিতে ইন্ডিয়ার দাবী অনুযায়ী যৌথ সামরিক কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী।

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) যে অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে লাল-সবুজ পতাকার বিজয় সূচিত হয়েছিল, সেখানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন মুক্তিবাহিনীর উপপ্রধান এ কে খন্দকার।

ওই অনুষ্ঠানে ওসামানীর না থাকাটা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে এখনও। ওই ঘটনা ধরে ওসমানীকে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রয়াসও দেখা যায় অহরহ। অথচ সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও ওসমানী আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম সংসদেও আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। মন্ত্রীও হয়েছিলেন স্বাধীনতার পরবর্তি সরকারে। বাকশাল গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেও ১৯৭৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক ঐক্য জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন অস্হায়ী প্রেসিডেন্ট স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতিপক্ষ হয়ে গনতন্ত্রিক যাত্রা অব্যাহত রাখতে।

ওসমানীর যুদ্ধ পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে শ
সমরনায়কদের সঙ্গে তার মতবিরোধ থাকলেও নীতিকে কঠোর ও প্রবল আত্ম মর্যাদাবোধ তাকে বৈশিষ্ট্যে স্বতস্ত্র করে তোলে বলে সমালোচকরাও স্বীকার করেন।