০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশের মানুষ পি আর বুঝে না, জনগণ অপেক্ষা করছে দ্রুত ভোটের জন্য- ডা. জাহিদ

মাহমুদুল হাসান সুজন
  • Update Time : ০৫:১৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২০৩ Time View

শুক্রবার ( ২২ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে চিকিৎসক পরিষদ ও বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে “গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচনের গুরুত্ব” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবদুল লতিফ মাসুম এর সভাপতিত্বে ও সাপ্তাহিক জয়যাত্রায় প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির চেয়াপারসনের চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন – ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, গণফোরাম এর সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, রেজিস্টার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সৈয়দ মাহবুব হোসেন এডভোকেট (সভাপতি, আইনজীবী এসোসিয়েশন, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ),
,ডাঃ উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্মী (মহাসচিব, চিকিৎসক পরিষদ),
ডাঃ মোঃ আজহারুল ইসলাম (সভাপতি, চিকিৎসক পরিষদ)
গাজী মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব বিশ্বা মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ।
ইমাম জাফর শিকদার (পরিচালক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি)। শেখ গোলাম আকবর (পরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ড)। অধ্যাপক আকবর সিরাজী, সাবেক ট্রেজারার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ এর সহকারি মহাসচিব ড: আশফাকুর রহমান শেলী।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন- দেশের জনগণ পিআর বুঝে না, জনগণ অপেক্ষা করছে দ্রুত ভোটের জন্য। পি আর পদ্ধতি নিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি নেপাল ও ইসরায়েল বছরে বছরে সরকার পরিবর্তন হয়, সেখানে গনতন্ত্র স্থায়ী হয় না। দেশের মানুষ বসে আছে গনতন্ত্র ও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অপেক্ষায় আছে।

তিনি আরও বলেন- গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সবসময় লড়াই করেছে এবং মানুষের পাশে থেকেছে। আমরা সুশাসনে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোট ছাড়া কোনোভাবে ক্ষমতায় বসা যায় না। শেষ পর্যন্ত জনগণই বিজয়ী হয়, আর তারাই চূড়ান্ত রায় দেয়।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন— একসময় ছাত্রসমাজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল। তারাই ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা কে দিদায় করেছে। আজ সেই ঐতিহ্য আবার ধরে রাখতে হবে। যুব ও ছাত্রসমাজকে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”তিনি বলেন স্বাধীনতার ঘোষক বুহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রব্যক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে সকল মতের গুরুত্ব দিতেন। এই গনতন্ত্র আর আত্মমর্যাদাশীল জাতির ধারাবিহীকতা অব্যাহত রাখতে জুডিশিয়াল জুলুমের স্বীকার হন। জুলাই-আগষ্টের কোটাবিরোধী ছাত্র আনন্দোলনকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে জনতাকে সম্প্রীক্ত করে তারেক রহমান বিজয়ের নিশ্চিত করেন। ঠীক সেই সময় দেশপ্রমিক সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত ও অল্প সময় বিজয় নিশ্চিত করেন। জনাব আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আইনের শাসন ভোটের অধিকার ও চিকিৎসার অধিকার পুর্ণ প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান। সকলের মতামত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার মত মেধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমান আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্হলভুত তারেক রহমান এর আছে।

গণফোরাম এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন— আজকে ১২ মাস হয়ে গেলো এখনো বলছে সংস্কার সংস্কর আর কত সময় লাগবে? দ্রুত নির্বাচন দেন। নির্বাচন ছাড়া গন মানুষের নেতা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব না।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন- গত ১৫ বছরে মানবাধিকার লংঘন হয়েছে, সেই মানবাধিকার লংঘনের কারনে এই সরকার গঠন হয়েছিলো কিন্তু এই সরকার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারেননি। এই জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার কে ক্ষমতায় যেতে হবে।

অনুষ্ঠান সাপ্তাহিক জয়যাত্রা এর প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন— বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে গনতন্ত্র ও মানবাধিকার ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা। আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য দেড় লক্ষ বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে ৫০ লাখ মামলা দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ৫ আগষ্ট এ জীবনের বিনিময়ে গনতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনা কে উৎখাত করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

About Author Information

বাংলাদেশের মানুষ পি আর বুঝে না, জনগণ অপেক্ষা করছে দ্রুত ভোটের জন্য- ডা. জাহিদ

Update Time : ০৫:১৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

শুক্রবার ( ২২ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে চিকিৎসক পরিষদ ও বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে “গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচনের গুরুত্ব” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবদুল লতিফ মাসুম এর সভাপতিত্বে ও সাপ্তাহিক জয়যাত্রায় প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির চেয়াপারসনের চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন – ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, গণফোরাম এর সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, রেজিস্টার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সৈয়দ মাহবুব হোসেন এডভোকেট (সভাপতি, আইনজীবী এসোসিয়েশন, বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ),
,ডাঃ উম্মুত তিজান মাখদুমা পন্মী (মহাসচিব, চিকিৎসক পরিষদ),
ডাঃ মোঃ আজহারুল ইসলাম (সভাপতি, চিকিৎসক পরিষদ)
গাজী মোশাররফ হোসেন, মহাসচিব বিশ্বা মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ।
ইমাম জাফর শিকদার (পরিচালক, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি)। শেখ গোলাম আকবর (পরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ড)। অধ্যাপক আকবর সিরাজী, সাবেক ট্রেজারার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ এর সহকারি মহাসচিব ড: আশফাকুর রহমান শেলী।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন- দেশের জনগণ পিআর বুঝে না, জনগণ অপেক্ষা করছে দ্রুত ভোটের জন্য। পি আর পদ্ধতি নিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি নেপাল ও ইসরায়েল বছরে বছরে সরকার পরিবর্তন হয়, সেখানে গনতন্ত্র স্থায়ী হয় না। দেশের মানুষ বসে আছে গনতন্ত্র ও ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অপেক্ষায় আছে।

তিনি আরও বলেন- গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বিএনপি সবসময় লড়াই করেছে এবং মানুষের পাশে থেকেছে। আমরা সুশাসনে বিশ্বাস করি। জনগণের ভোট ছাড়া কোনোভাবে ক্ষমতায় বসা যায় না। শেষ পর্যন্ত জনগণই বিজয়ী হয়, আর তারাই চূড়ান্ত রায় দেয়।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন— একসময় ছাত্রসমাজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিল। তারাই ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনা কে দিদায় করেছে। আজ সেই ঐতিহ্য আবার ধরে রাখতে হবে। যুব ও ছাত্রসমাজকে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।”তিনি বলেন স্বাধীনতার ঘোষক বুহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রব্যক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে সকল মতের গুরুত্ব দিতেন। এই গনতন্ত্র আর আত্মমর্যাদাশীল জাতির ধারাবিহীকতা অব্যাহত রাখতে জুডিশিয়াল জুলুমের স্বীকার হন। জুলাই-আগষ্টের কোটাবিরোধী ছাত্র আনন্দোলনকে আধিপত্যবাদ মুক্ত করতে জনতাকে সম্প্রীক্ত করে তারেক রহমান বিজয়ের নিশ্চিত করেন। ঠীক সেই সময় দেশপ্রমিক সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত ও অল্প সময় বিজয় নিশ্চিত করেন। জনাব আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আইনের শাসন ভোটের অধিকার ও চিকিৎসার অধিকার পুর্ণ প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান। সকলের মতামত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার মত মেধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া উর রহমান আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্হলভুত তারেক রহমান এর আছে।

গণফোরাম এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন— আজকে ১২ মাস হয়ে গেলো এখনো বলছে সংস্কার সংস্কর আর কত সময় লাগবে? দ্রুত নির্বাচন দেন। নির্বাচন ছাড়া গন মানুষের নেতা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব না।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন- গত ১৫ বছরে মানবাধিকার লংঘন হয়েছে, সেই মানবাধিকার লংঘনের কারনে এই সরকার গঠন হয়েছিলো কিন্তু এই সরকার মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারেননি। এই জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার কে ক্ষমতায় যেতে হবে।

অনুষ্ঠান সাপ্তাহিক জয়যাত্রা এর প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন— বাংলাদেশে গত ১৬ বছরে গনতন্ত্র ও মানবাধিকার ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা। আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য দেড় লক্ষ বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে ৫০ লাখ মামলা দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। বাংলাদেশের ছাত্র জনতা ৫ আগষ্ট এ জীবনের বিনিময়ে গনতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনা কে উৎখাত করেছে।