সুজন-এর মানববন্ধন: সামাজিক অপরাধ ও ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে জোরালো আহ্বান

- Update Time : ০৪:৫২:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
- / ৪৯৫ Time View
গতকাল ১৩ জুলাই সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর ঢাকা মহানগরী শাখার উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে “খুন, নারী নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও মব ভায়োলেন্স” প্রতিরোধে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক সময়ের উদ্বেগজনক সামাজিক অপরাধ ও সহিংসতার ঘটনাগুলো নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এগুলোর পেছনে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের সম্ভাব্যতা তুলে ধরা হয়। রাজিকুজ্জামান রতন (বাসদের সাধারণ সম্পাদক) প্রধান বক্তব্যে মিডফোর্ট হত্যাকাণ্ড ও মব জাস্টিসের মতো ঘটনাগুলোকে “জুলাই বিপ্লব-বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র” হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি ফ্যাসিবাদী শক্তিকে প্রতিহত করতে সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনা রক্ষায় সজাগ থাকার তাগিদ দেন।
জুবাইরুল হক নাহিদ (সুজন ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক) মিডফোর্ট হত্যাকাণ্ড, মুরাদনগরের ধর্ষণ ও খুলনার ঘটনাকে সরকারকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে “পরিকল্পিত অপতৎপরতা” বলে অভিহিত করেন। তিনি অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মাহবুল হক (সুজন ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক) সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা রাজনৈতিক শক্তিকে উন্মোচনের আহ্বান জানান। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
আরোও বক্তব্য রাখেন,
জি. এম. রুস্তম খান (পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের ঢাকা মহানগরী সভাপতি)
এডভোকেট রাশিদা আক্তার শেলী (বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের কেন্দ্রীয় সভাপতি)
শওকত আলী বুলবুল (সুজন পল্টনের সভাপতি)
ইমরান হোসেন চৌধুরী (সুজন পল্টনের সাধারণ সম্পাদক)
শাহারুল ইসলাম রকি (সুজন পল্টনের প্রচার সম্পাদক)
ইয়াকুব বিশ্বাস (সুজন পল্লবী থানার সাধারণ সম্পাদক)
সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক) ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশে সুশাসন, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, নির্বাচনী স্বচ্ছতা ও মানবাধিকার রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছে। এই মানববন্ধন সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অপরাধের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী গণজাগরণের বার্তা বহন করে।
অনুষ্ঠান শেষে পল্টনের মুক্তি ভবনের তিন তলায় সুজন পল্টন অফিসে নেতৃবৃন্দ চা আড্ডায় মিলিত হন।
এই মানববন্ধন সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে চলা অপরাধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি জোরালো প্রতিবাদ হিসেবে গণ্য হয় এবং সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়।